Thursday 24 March 2016

Learning English



'Communicative competence' refers to the ability to  form correct utterances and use them appropriately in various circumstances. There are two ways of developing communicative competence in a language.


The first is acquisition which is similar to the way people develop ability in their mother tongue. It is a nature, subconscious process in which users are not usually aware of acquiring a language. They are aware only of the fact that they are using the l a n g u a g e for communication. In non-technical terms, acquisition is 'picking up' a language spontaneously. It may also be called implicit learning.

On the other hand, the second way of developing communicative competence in a language 

Tuesday 22 March 2016

The Taj Mahal




It has been over three hundred years since Emperor Shah Jahan of Delhi built the Taj Mahal as a tomb for his wife in Agra. Architecturally, it is still one of the most beautiful buildings in the world. The building is made of fine white marble with inlays of coloured marble. It has eight sides and many open arches. It rests on a platform or terrace of red sandstone. Four slender white towers     
rise from the corners of the terrace. There is a large dome above the centre of the building. Around this large dome there are four smaller domes. Just inside the outer walls, there is an open corridor from which visitors can look through carved marble screens into a central room. The bodies of Shah Jahan and his wife Mumtaz lie in two graves below this room.

The Taj Mahal is surrounded by a beautiful garden and there is a long pool that stretches out in front of the building. One can see the beauty of the Taj Mahal in its reflection in the pool water.
Visitors come to see this wonderful building at diffrent times of the day since it assumes a different look at diffrent times. Most people like it best on moonlit nights.



Monday 14 March 2016

How To Know Your Own Mobile Number And Balance For Gp, Airtel, Robi,Banglalink And Citycell


Grameenphone- For Number Knowing Dial , *2#  and  For Balance *566#
Banglalink-        For Number Knowing Dial, *511# and For Balance *124#
Robi-                  For Number Knowing Dial, *140*2*4# For Balance *222#
Airtel-                For Number Knowing Dial  *121*6*3#  For Balance *778#
Teletalk-            You Need To Send A Message. Type "W" Or "Tar" And Send 321
Citycell-            To Check Prepaid Account And Bonus Account Through SMS Dial *887

Friday 15 January 2016

Suleiman the Magnificent (সুলতান সুলেমান দ্যা ম্যাগনিফিসেন্ট)




‘দীপ্ত টিভি’তে বাংলায় ডাবিং করা তুরস্কের জনপ্রিয় সিরিজ ‘মুহতেশেম ইউযিউয়েল’ বাংলায় ‘সুলতান সুলেমান’ প্রচারিত হচ্ছে। এটি নির্মিত হয়েছে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সবচেয়ে দীর্ঘতম সময়ব্যাপী রাজত্ব বিস্তারকারী উসমানীয় সম্রাট প্রথম সুলাইমান, তাঁর স্ত্রী হুররেম সুলতান এবং তাদের এক কৃতদাসী নারীর জীবনীর উপর ভিত্তি করে, যিনি পরবর্তীতে সুলায়মানের স্ত্রী হিসেবে সম্মানিত হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেন। 
মুহতেশেম ইউযিউয়েল (Muhteşem Yüzyıl, তুর্কি উচ্চারণ: [muhteˈʃɛm ˈjyzjɯl]ইংরেজিThe Magnificent Century, ম্যাগনিফিসেন্ট সেঞ্চুরি, অর্থ: সুলায়মানী শতাব্দী) হল মেরাল ওকেয় ও য়িল্মায শাহিন রচিত দিনের নির্দিষ্ট সময়ে প্রচারিত একটি ঐতিহাসিক তুর্কি ধারাবাহিক টেলিভিশন নাটক। প্রধানত তুরস্কের শো টিভিতে নাটকটির সম্প্রচার শুরু হলেও পরবর্তীতে তুরস্কের স্টার টিভিতে এর সম্প্রচার স্থানান্তর করা হয়। নাটকটি নির্মিত হয়েছে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সবচেয়ে দীর্ঘতম সময়ব্যাপী রাজত্ব বিস্তারকারী উসমানীয় সম্রাট প্রথম সুলাইমান এবং তাঁর প্রিয়তম স্ত্রী হুররেম সুলতানের জীবনীর ভিত্তি করে, যিনি সুলতানের কৃতদাসী হয়েও পরবর্তীতে সুলায়মানের স্ত্রী হিসেবে সম্মানিত হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেন ।


দৃশ্যপট


২৬ বছর বয়সে শাসনকালের সূচনালগ্নে সুলাইমান মহামতি আলেক্সান্ডারের থেকে শক্তিশালী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে অটোমান জাতিকে অপরাজেয় জাতি হিসেবে গড়ে তোলার সংকল্প করেন। তাঁর ৪৬ বছরের শাসনকাল জুড়ে, পূর্ব ও পশ্চিমে সমসাময়িক মহান যোদ্ধা ও শাসক হিসেবে তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর সঙ্গী ইব্রাহিম পাশাকে সাথে নিয়ে তিনি অগণিত যুদ্ধাভিযান জয় করলেন। সুলায়মান ইব্রাহিমকে তাঁর ভাই, বন্ধু এবং উপদেষ্টা হিসেবে সম্মানিত করেন। ধারাবাহিকটিতে সুলায়মানের রাজনৈতিক শক্তি একীভূতকরণকে প্রদর্শন করা হয়েছে: ইব্রাহিম পাশাকে রাষ্ট্রের উজির হিসেবে নিযুক্তকরণ, সমস্ত সাম্রাজ্য জুড়ে আইনি শাসন পুনর্বহাল করা, বৈদেশিক কূটনৈতিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, এবং যুদ্ধাভিযানের জন্য সেনাবাহিনী প্রস্তুতকরণ, এই সকল ঘটনাই রোমান সাম্রাজ্য এবং অটোমান সাম্রাজ্যের পারস্পারিক সম্পর্কের অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে ঘটে।

ধারাবাহিকটিতে সম্রাট পরিবারের সদস্যদের পারস্পারিক সম্পর্ক, বিশেষ করে প্রণয়ী দীর্ঘসূত্রিতা এবং দ্বন্দ্বকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। হুররেম সুলতান এবং সুলতানের বয়োজ্যেষ্ঠ পুত্রের মাতা মাহিদেরভান সুলতানের শত্রুতা এবং ওয়ালিদা হাফসা সুলতানের ভূমিকা; সুলতানের সন্তান গর্ভে ধারণ করে সুলতানের প্রিয়পাত্র হওয়ার মাধ্যমে হুররেম সুলতানের উত্থান, এবং সন্তান জন্মের পর প্রিয়পাত্রের অবস্থান হতে পতন এবং পরিণামস্বরূপ করুণার অবস্থানে ফেরত;সুলতানের ভগ্নি হাতিসা সুলতানের সঙ্গে ইব্রাহিম পাশার প্রণয়, এবং আরও অনেক কিছু।

চরিত্র[সম্পাদনা]


প্রধান চরিত্রসমূহ[সম্পাদনা]

অভিনয়শিল্পীর নামচরিত্রের নামবিবরণমৌসুম
খালিদ এরগেঞ্চপ্রথম সুলাইমানউসমানীয় সাম্রাজ্যের দশম সম্রাট১-৪
মারিয়াম উজালরিহুররেম সুলতান (রোক্সেলানা/আলেকজান্দ্রা রুসলানা লিসোভস্কা)সুলায়মানের বৈধ স্ত্রী হাসেকি সুলতান, এবং সুলতানের পাঁচ সন্তানের মাতা১-৩
ওয়াহিদে পারচিন
নুর ফেত্তাখগ্লুমাহিদেভ্রান সুলতানসুলায়মানের স্ত্রী এবং সম্রাটপুত্র মুস্তফার মাতা১-৪
ওকান ইয়ালাবিকপারগালি ইব্রাহিম পাশাঅটোম্যান সাম্রাজ্যের প্রধান উজির, সুলতান সুলায়মানের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু১-৩
৪ (শুধু কণ্ঠ)
নেবাহাত চেহরেআয়শা হাফসা সুলতানসুলতান সুলায়মানের মাতা, প্রথম সেলিমের বিধবা স্ত্রী১-২
সেলমা এরগেচহেতিসা (খাদিজা) সুলতানসুলতান সুলায়মানের বোন, পারগালি ইব্রাহীম পাশার স্ত্রী, উসমান ও হুরিচিহানের মাতা১-৩
মেহমেত গুনসুরশাহজাদা মুস্তফাসুলতান সুলায়মানের বয়োজ্যেষ্ঠ ও মাহিদেভরান সুলতানের একমাত্র পুত্র, সিংহাসনের ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকারী১-৪
বেরাক তুযুনাতাচমেহেরুন্নেসা সুলতানমুস্তাফার স্ত্রী ও তার সন্তাবের মাতা, বারবারোস হায়রুদ্দীন পাশার কন্যা
গুরবেয় ইলেরিশাহজাদা মেহমেদসুলায়মান ও হুররেমের প্রথম সন্তান, ইস্মিহান সুলতান'র স্বামী১-৩
আয়দা আচার
মেলিস মুলতুচ
পেলিন কারাহান
মিহরিমা সুলতানসুলায়মান ও হুররেমের একমাত্র কন্যা, রুস্তম পাশার স্ত্রী১-৪
ওযান গুভেনরুস্তম পাশামিহরিমাহ সুলতানের স্বামী ও অটোম্যান সাম্রাজ্যের প্রধান উজির৩-৪
এঙ্গিন ওযতুর্কদ্বিতীয় সেলিমসুলায়মান ও হুররেমের তৃতীয় সমতান ও পরবর্তীতে উসমানীয় সাম্রাজ্যের ১১শতম সুলতান, তৃতীয় মুরাদ'র পিতা১-৪
Merve Boluğurনুরবানু সুলতানশাহজাদা সেলিমের বিধ স্ত্রী, পরবর্তীতে তৃতীয় মুরাদের মাতা
Aras Bulut İynemliশাহজাদা বায়জিদসুলায়মান ও হুররামের চতুর্থ সন্তান২-৪
Tolga Sarıtaşশাহজাদা চিহাঙ্গির (জাহাঙ্গীর)সুলায়মান ও হুররেমের পঞ্চম ও শেষ সন্তান২-৪
Deniz Çakırশাহ সুলতানসুলায়মানের বোন, লুতফি পাশার স্ত্রী, ইস্মিহান সুলতানের মাতা
Meltem Cumbulফাতিমা সুলতানসুলায়মানের বোন, কারা আহমেদ পাশার স্ত্রী
Burak Özçivitমাল্কচগ্লু বালি বেমাজরদমো, আয়বিগে হাতুনের একপাক্ষিক প্রেমী, মিহরিমার একপাক্ষিক প্রেম২-৩
Tuncel Kurtizএবুসসুদ এফেন্দিইস্তাম্বুলের কাজি, পরবর্তীতে শায়খুল ইসলাম এফেন্দি৩-৪
ফিলিয আহমেতনিগার কালফাহারেমের দাসী ও তত্ত্বাবধায়ক, ইব্রাহীমের প্রেমিকা ও সহচর এবং তার কন্যা ইস্মানুরের মাতা১-৩
Serkan Altunorakতাস্লিকালি ইয়াহিয়া বেসমসাময়িক অন্যতম খ্যতিমান কবি, শাহজাদা মুস্তফার বন্ধু ও সমর্থক৩-৪
Sarp Akkayaআতমাচাশাহজাদা মুস্তফার বন্ধু ও সমর্থক এবং পরবর্তীতে শাহজাদা বায়েজিদের
সেলিম বায়রাক্তারসুম্বুল আগাহারেমের প্রধান হিজড়া ও হুররেম সুলতানের নিকটতম সহচর১-৪

বাংলা ভাষায় সম্প্রচার

বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভি ২০১৫ সালের ১৮ই নভেম্বর থেকে ধারাবাহিকটি বাংলা ভাষায় ডাবিং করে সুলতান সুলেমান নামে সপ্তাহে ৬দিন ব্যাপী সাপ্তাহিক সম্প্রচার শুরু করে।

বিতর্ক[সম্পাদনা]

কিছু দর্শক ধারাবাহিকটির উপর তুর্কি সুলতানকে অসম্মানিত, অশ্লীল এবং ফুর্তিবাজ হিসেবে চিত্রায়িত করার অভিযোগ তোলেন। তুরস্কের সর্বোচ্চ বেতার ও টেলিভিশন পরিষদ আরটিইউকে দাবি করে যে তারা সিরিজটির বিরুদ্ধে ৭০ হাজার অভিযোগ পেয়েছে এবং একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের গোপনীয়তাকে ভুলভাবে প্রদর্শনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার জন্য সতর্ক করে। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রেসেপ তায়িপ এরদোয়ান ধারাবাহিকটিকে তরুণ প্রজন্মের কাছে তাদের ইতিহাসকে নেতিবাচক আলোকে প্রদর্শন করার একটি প্রয়াস হিসেবে নিন্দা করেন। একে পার্টির একজন সংসদ সদস্য অকায় সারাল আরও একধাপ এগিয়ে মুহতেশেম ইউযিউয়েলের মত সিরিজে "ঐতিহাসিক ব্যক্তিগণকে ভুলভাবে তুলে ধরার" কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবার হুমকি দেন। ইসলামপন্থী এবং জাতীয়তাবাদীদের কিছু ক্ষুদ্র দল স্টুডিওর সামনে প্রতিবাদ মিছিল করে কিন্তু তবুও সিরিজটি আশানুরূপ উচ্চমানের রেটিং সহ সফলভাবে চলমান থাকে।
এলিফ বাতুমান "দ্য নিউ ইয়র্কার" পত্রিকায় লেখেন:
"On the surface, 'Magnificent Century' looks like a quintessential product of the Erdoğan years. Thanks to Erdoğan's economic policies, Turkey has a thriving television industry, capable of staging elaborate period dramas, and a prosperous family-oriented middle class of observant Muslims eager to watch their own values reflected in a historical imperial setting. And, much as Erdoğan's foreign policy has promoted relations with former Ottoman lands, the show has conquered large audiences in Balkan, Caucasian, and Arab countries not known for their fond memory of Ottoman rule. Broadcast to more than two hundred million viewers in fifty-two countries, "Magnificent Century" has accomplished one of Erdoğan's main goals: Making a powerful, non-secularist, globally involved version of Turkey both plausible and appealing.... And yet Erdoğan is not a fan. In late 2012, at the opening of a provincial airport he took a moment to condemn the show's depiction of Süleyman, as well as its directors and broadcasters, hinting at severe judicial repercussions."
আসুন জেনে নিই
‘কে এই সুলতান সুলেমান’?
জন্ম ও লেখাপড়াঃ 
সুলতান সুলাইমান সাগর পাড়ে ট্রাবজন নামক স্থানে ১৪৯৪ সালের ৬ নভেম্বর জনগ্রহণ করেন। তাঁর মাতার নাম ছিল আয়েশা হাফসা সুলতান; যিনি চেংঘিষ খানের বংশধর ছিলেন বলে জানা যায়। সাত বছর বয়সে তিনি তোপকাপি প্রাসাদের স্কুলে বিজ্ঞান, ইতিহাস, সাহিত্য থিওলজী এং সামরিক বিদ্যা বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। 

সুলতান ও খলিফা পদে প্রথম সুলাইমান সুলতান সুলাইমান (প্রথম সুলাইমান) ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের দশম এবং সবচেয়ে দীর্ঘকালব্যাপী শাসনরত সুলতান, যিনি ১৫২০ সাল থেকে ১৫৬৬ সালে মৃত্যু পর্যন্ত উসমানীয় সাম্রাজ্য শাসন করেন। সুলতান হওয়ার আগে তিনি বিভিন্ন প্রদেশের গভর্নর ছিলেন। ১৭ বছর বয়সে তিনি প্রথম কাফফা, পরে সারুকান এবং এরপরে এড্রিয়ানপোল (এখনকার এড্রিন) এর গভর্নর পদে আসীন হন। তাঁর পিতা সুলতান প্রথম সেলিমের মৃত্যু পর তিনি ২৬ বছর বয়সে সুলতানের মসনদে বসেন। তার ক্ষমতারোহণের কয়েক সপ্তাহ পরে সে সময়কার ভেনেসীয় রাজ প্রতিনিধি Bartolomeo Contarini সুলতান সুলাইমান সম্মন্ধে যে উক্তিটি করে তা বেশ প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেন, "He is twenty-six years of age, tall, but wiry, and of a delicate complexion. His neck is a little too long, his face thin, and his nose aquiline. He has a shade of a mustache and a small beard; nevertheless he has a pleasant mien, though his skin tends to be a light pallor. He is said to be a wise Lord, fond of study, and all men hope for good from his rule." 

শাসনকালের সূচনালগ্নে সুলতান সুলাইমান মহামতি আলেক্সান্ডারের থেকে শক্তিশালী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে অটোমান জাতিকে অপরাজেয় জাতি হিসেবে গড়ে তোলার সংকল্প করেন। প্রকৃত অর্থেই তাঁর ৪৬ বছরের শাসনকাল জুড়ে পূর্ব ও পশ্চিমে সমসাময়িক মহান যোদ্ধা ও শাসক হিসেবে তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। 

নাম ও পদবীঃ 
সুলতান সুলাইমান উসমানীয় খেলাফতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও পরাক্রমশালী শাসক ছিলেন। পাশ্চাত্যে তিনি ‘Suleiman the Magnificent’ বা ‘মহৎ সুলাইমান’ হিসেবে পরিচিত। উসমানীয় সাম্রাজ্যের নীতিমালাগুলো তৈরি করেছিলেন বলে প্রাচ্যে তাঁকে বলা হয় "Kanuni" বা ‘বিধানকর্তা’ সুলাইমান। তিনি যেসব কানুনগুলো স্থাপন করে গেছেন, সেসব কানুনগুলো উসমানীয় সাম্রাজ্যে অনেক শতাব্দী ধরে প্রচলিত ছিল। এখানে উল্লেখ্য যে, অটোমান সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে মুসলিম আইন সম্মন্ধে আবু হানিফার রহঃ ব্যাখ্যাই শাসকশ্রেণির স্বীকৃতি লাভ করেছিল। 

প্রথম সুলাইমান কেমন ছিলেন
যুবরাজ থাকালেই তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। তখনই তাঁর সততা ও যোগ্যতার কথা সবখানে আলোচিত হত। তিনি খলিফা হওয়ার পর সারা শে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। প্রথম সুলাইমান ছিলেন একজন নিষ্ঠাবান মুসলিম। দৈনন্দিন জীবনে তিনি ইসলামের অনুশাসনগুলো নিষ্ঠার সাথে প্রতিপালন করতেন। সকল মুসলিম নাগরিক যাতে নিয়মিত নামাজ ও রোজা পালন করে সেই দিকে তাঁর সজাগ দৃষ্টি ছিল। নামাজ ও রোজা পালনে শৈথিল্যের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা ছিল। প্রথম সুলাইমান আল কুরআনের আটটি খন্ড নিজের হাতে কপি করে সুলাইমানিয়া মসজিদে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন। তিনি কা’বারও সংস্কার সাধন করে। 

তিনি অন্যান্য ধর্মানুসারীদের প্রতিও উদার মনোভাব পোষণ করতেন। তাঁর শাসনকালে ধর্মীয় কোন্দলের কারণে বিপদাপন্ন হয়ে খ্রিস্টান দেশগুলো থেকে বহু প্রোটেস্ট্যান্ট ও ক্যাথলিক তাঁর পরিচালিত রাস্ট্রে এসে নিরাপদে বসবাস করতে থাকে। ইতিহাসবিদ লর্ড ক্রেজি বলেন, খ্রিস্টান জগতে রোমান ক্যাথলিক ও প্রোটেস্ট্যান্টদের অত্যাচার-অবিচারের যুগে সমসাময়িক অন্যকোন নরপতি সুলাইমানের ন্যায় প্রশংসা অর্জন করতে পারেনি”। 

সাহসিকতা, মহানুভবতা, ন্যাপরায়ণতা এবং বদান্যতা তার চরিত্রের ভূষণ ছিলো। তিনি নাগরিকদের করভার লাঘব করেন।
সুলাইমানিয়া মসজিদ তার অমর কীর্তি। রাট্রের সর্বত্র বহু মসজিদ, ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, গোসলখানা, সেতু ইত্যাদি তৈরী করেন। 

তিনি দুর্নীতিপরায়ণ অফিসারদের বরখাস্ত করে সৎ ও যোগ্য লোক নিয়োগ করেন। ন্যায়বিচারের স্বার্থে তিনি আপন জামাতাকেও গভর্নরের পদ থেকে সরিয়ে দেন। শাসনকাকার্যের সুবিধার জন্য সমগ্র খিলাফতকে ২১টি প্রদেশ এবং ২৫০টি জেলায় বিভক্ত করেন। 
উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিস্তারকালে, সুলতান সুলাইমান ব্যাক্তিগতভাবে তাঁর সাম্রাজ্যের সমাজ ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা, খাজনা ব্যবস্থা ও অপরাধের শাস্তি ব্যবস্থার বিষয়গুলোতে আইনপ্রণয়নসংক্রান্ত পরিবর্তন আনার আদেশ দেন। সুলতান সুলাইমান যে শুধু একজন মহান রাজা ছিলেন তা নয়, তিনি একজন মহান কবিও ছিলেন। তাঁর শাসনামলে উসমানীয় সংস্কৃতির অনেক উন্নতি হয়। সুলতান সুলাইমান উসমানীয় তুর্কি ভাষা সহ আরো পাঁচটি ভিন্ন ভাষায় কথা বলতে পারতেন: আরবী ভাষা, সার্বীয় ভাষা, ফার্সি ভাষা, উর্দু ভাষা এবং চাগাতাই ভাষা (একটি বিলুপ্ত তুর্কি ভাষা)।

তাঁর সমসাময়িক প্রখ্যাত শাসক ছিলেন জার্মানির পঞ্চম চার্লস, ফ্রান্সের প্রথম ফ্রান্সিস, ইংল্যান্ডের রাণী এলিজাবেথ, রাশিয়ার জার আইভানোভিচ, পোল্যান্ডের সিজিসম্যান্ড, ইরানের শাহ ইসমাঈল এবং ভারতের সম্রাট আকবর। 

দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের মর্যাদাঃ 
প্রথম দিকে উসমানী শাসকগণ নিজেদেরকে ইসলামী আইন-কানুনের প্রতিভূ মনে করতেন। ধর্মীয় আইনবিদগণ কাযী ও মুফতি নামে দুইভাগে বিভক্ত ছিলেন। পরবর্তীকালে বিভাগ দুটিকে প্রধান মুফতির অধীনে আনা হয়। প্রধান মুফতি শাইখুল ইসলাম নামে পরিচিত হন। ১৬ শতকের মধ্যভাগ থেকে শাইখুল ইসলামের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি বাড়তে থাকে। তার পদমর্যাদা প্রায় উযীরে আযমের পদমমর্যাদার সমকক্ষ ছিল। কোন আইন ধর্মীয় বিধান সম্মত কিনা সেই সম্মন্ধে অভিমত দেয়াই ছিলো শাইখুল ইসলামের প্রধান কাজ। সকল দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার দফতরের অধীন ছিল। 

রণাংগনে প্রথম সুলাইমানঃ 
প্রথম সুলাইমান ষোড়শ শতাব্দীর ইউরোপে একজন বিশিষ্ঠ রাজা হিসেবে স্থান লাভ করেন, যার শাসনামলে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তির বিস্তার ঘটে। সুলতান সুলাইমানের সেনাবাহিনী পবিত্র রোমান সাম্রাজ্য এবং হাঙ্গেরির অনেক শহরের পতন ঘটায়। কিন্তু সুলতান সুলাইমানের সেনাবাহিনীকে ভিয়েনা শহর দখল করতে ব্যর্থ করে। প্রথম সুলাইমান পারস্যের সাফাভিদ সুলতান, প্রথম তাহমাসবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং মধ্য প্রাচ্যের বেশির ভাগ অঞ্চল দখল করে নেন। তিনি উত্তর আফ্রিকায় আলজেরিয়া সহ বড় বড় অঞ্চলগুলো পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের হাত থেকে দখল করে নেয়। তাঁর শাসনামলে উসমানীয় নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগর থেকে লোহিত সাগর ও পারস্য উপসাগর পর্যন্ত তাদের আধিপত্য বজায় রাখে। তার সাফল্যের আরেকটি দিক হলো ভারত মহাদেশ থেকে তিনি পর্তুগিজদের বিতাড়িত করেন এবং ভারতের সঙ্গে উসমানীয়দের ব্যবসা সুদৃঢ় করেন। সেই সময় অটোমান সাম্রাজ্য দানিউবের কূলে বুদাপেস্ট থেকে টাইগ্রিসের কূলে বাগদাদ পর্যন্ত এবং ক্রিমিয়া থেকে নীলনদের প্রথম জলপ্রপাত বিস্তৃত ছিল। এটিই ছিল আধুনিক যুগের বৃহত্তম মুসলিম রাস্ট্র। 

সময়ের পরাক্রমশালী শাসকঃ 
প্রকৃত অর্থেই তিনি পরাক্রমশালী শাসক ছিলেন। তাঁর রাজদরবার গোটা ইউরোপ এবং এশিয়ার অন্যতম উজ্জ্বল দরবার ছিল। ফ্রান্সের প্রথম ফ্রান্সিসকে লেখা তার একটি চিঠির বয়ান ছিল সত্যিই লক্ষ করার মত। এবার স্বয়ং ‘Suleiman the Magnificent’ এর মুখ থেকেই শুনি চলুনঃ 

“আমি যিনি সুলতানদের সুলতান, রাজার রাজা, বিশ্বের বুকে সমস্ত রাজাদের মুকুটদাতা, পৃথিবীতে আল্লাহর ছায়া, শ্বেতসাগর এবং কৃষ্ণসাগর, রুমেলিয়া, আনাতোলিয়া, কারামানিয়া, রুম ভূখন্ড, জুলকাদ্রিয়া, দিয়ারবেকির, কুর্দিস্তান, আজেরবাইজান, পারস্য, দামাস্কাস, আলেপ্পো, কায়রো, মক্কা, মদিনা, জেরুজালেম, সারা আরব, ইয়ামান, এবং অন্যান্য দেশ যা আমার পূর্বপুরুষদের (আল্লাহ তাদের কবরকে আলোকিত করুন) বাহুবলে জয় করা ভূখন্ড এবং আমার বীরত্বের পরস্কার তাদের মহমময় আল্লাহর দান করা ভূখন্ডের সর্বময় কর্তা, আমি সুলতান সুলাইমান খান, সুলতান সেলিম খানের পুত্র, সুলতান বায়েজিদ খানের পৌত্র, তোমার উদ্দেশ্যে, ফ্রান্সের রাজা ফ্রান্সিস”। 

ভিন্ন রকম তথ্যঃ
তাঁর মৃত্যুর ৩০ বছর পর উইলিয়াম শেক্সপিয়ার তাঁর বিখ্যাত The Merchant of Venice এ "Sultan Solyman" নামটি কোট করেছিলেন। (Act 2, Scene 1).

প্রথম সুলাইমানের ইন্তিকাল
১৫৬৬ সালে হাংগেরীতে পরিচালিত এক অভিযান চলাকালে আকস্মিকভাবে তিনি ইন্তিকাল করেন। 
সবাইকে ধন্যবাদ।

রেফারেন্স:  ১. খন্দকার মাশহুদ-উল-হাছান অনূদিত বিখ্যাত ঐতিহাসিক P. K Hitti লিখিত ‘The History of Arabs’ গ্রন্থ। ২. সংবাদপত্র।৩. আহমেদ, এ. কে. এম নাজির(২০১১). “উসমানী খিলাফতের ইতিকথা, ঢাকাঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার। 8. উইকিপিডিয়া।


Monday 2 November 2015

Pink Dolphin In Sweet Water




We have a pinky dolphine in our country(Bangladesh). But amazon’s pink dolphine is more famous. Amazon is the famous river of Latin America. The ancestors of our pinky dolphines are found there. They are called in different names there.
There are 5 species of sweet warter dolphines in the world. Pinl dolphine is one of them. They are bigger than their fellow species. They are completely different from the sea dolphines. A mature dolphine can be 6-8 feet tall and 200-350 in weight.

They have an acute sense of hearing and their eyesight also very powerful. And also they are more in numbers than the other sweet water dolphines. Though they are called pinky dolphine, they can also be gray or light browny. They are more intellectual than their other fellow mates. For a special vetabrae in shoulder they can easily bend over 180 degree.
Small fishes, catfish, crab, small turtles,piranha are some of their favorite foods. They weigh as a mature human. On average their weight reamins 200 Ibs, it means about 80 Kgs. But after birth a baby dolphine weighs 1 Kg and 30 inches tall.






Sunday 1 November 2015

Friends Of Kakon Hat

We Are Friends, Of  Tilahari, Kakon Hat, Godagari, Rajshahi, Place: Chabbish Nagar.


5 years ago in 2010. Missing  those days.